সর্বশেষ সংবাদঃ
জাতীয়: অন্যান্য
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা মহাসড়ক বর্ধিতকরণ কাজ। এই মহাসড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে বিভাগীয় শহর রংপুরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে আমুল পরিবর্তন। উপকৃত হবে সর্বউত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নি¤œ আয়ের মানুষ। সাশ্রয় হবে সময় এবং অর্থ।
কুড়িগ্রাম-রাজারহাট ভায়া তিস্তা পর্যন্ত ১৮কি.মি. জেলা মহা সড়ক বর্ধিত করণ ও দু’টি সেতু পুনঃনির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ সড়কটির কাজ শেষ হলে বিভাগীয় শহর রংপুরের সাথে কুড়িগ্রামের ১০কি.মি. দূরত্ব কমবে। বর্ধিত করণ সড়কটির প্রস্থ ৬ ফিট বাড়িয়ে ১৮ ফিট করা হচ্ছে। পুরো সড়কের মধ্যে ঠাটমারী এবং সিঙ্গার ডাবরীতে দু’টি ব্রিজ সহ ৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ কিঃ মিঃ সড়কটিকে ৩টি প্যাকেজে বিভক্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় তিনটি প্যাকেজের কাজ করছে জাতীয় পর্যায়ের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিজভী কনস্ট্রাকশন। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কাজটির তিনটি প্যাকেজের মধ্যে ব্রিজ প্যাকেজের ৭০ ভাগ এবং দু’টি সড়ক প্যাকেজের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ নির্ধারিত সময় ২০১৯ সালের ৩০ জুনের আগেই সমাপ্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র আশা প্রকাশ করেছে।
সূত্র জানায়, সড়কের কাজ সমাপ্ত করতে গিয়ে দু’ধারের গাছ কাটা এবং রেল বিভাগের সাথে জমি কেন্দ্রিক যে জটিলতা আছে তা নিরসনের প্রক্রিয়াও চলমান। এরই মধ্যে বনবিভাগ তাদের লাগানো রাস্তার এক ধারের গাছ কেটে নিয়েছে। জেলা পরিষদের লাগানোর গাছগুলো কাটার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক কিলোমিটার রাস্তা বর্ধিত ও স্টেপ করতে রেলওয়ে বিভাগের জায়গার প্রয়োজন। রেলওয়ে বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তা নিরসন করা হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমির হোসেন বলেন- আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে রেলওয়ে বিভাগের সাথে আলোচনা আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
চৌহালী নিউজঃ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।